Asia Cup 2025 final: India have an air of destiny, but underdogs Pakistan seem resurgent and have a history of rising to the big occasion

 সন্ধ্যার প্রখর রোদের নীচে, গ্রাউন্ডসম্যানরা মাঠের ঘাসের রুক্ষ প্রান্তগুলি ছাঁটাই করছেন। সম্প্রচারকারীরা তাদের বিশাল ক্যামেরার জট খুলে দিচ্ছেন এবং তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করছেন। নিরাপত্তা কর্মীরা মাঠের প্রতিটি বর্গ ইঞ্চি তল্লাশি করছেন এবং ব্যারিকেডগুলি ঠিক করছেন। ম্যানেজার তাদের আঙুলের উপর প্রবাদ বাক্য বলার আগে প্যান্ট্রি কর্মীরা গল্প-গুজব করছেন। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রাঙ্গণ এবং ভিতরের পবিত্র স্থানে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল আয়োজনের অস্থির উত্তেজনা স্পষ্ট।

এই স্টেডিয়ামে এর আগেও অসংখ্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, এশিয়া কাপের শেষ দুই সপ্তাহে দুটি, কিন্তু রবিবারের ম্যাচের মতো এত বিশাল আর কিছু মনে হবে না। ক্রিকেটাররা এটিকে কেবল আরেকটি খেলা বলে মন্তব্য করছেন। এবার মাঠের ক্ষোভ, যুদ্ধের রূপক, উস্কানি এবং মৌখিক আদান-প্রদান, রাজনৈতিক ভঙ্গিমা এবং আড়ালসহ আরও অনেক কিছু সত্য। নাটকটি একটি নিখুঁত শীর্ষে পৌঁছেছে, উভয় দলই তাদের তিক্ততম প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর চূড়ান্ত জয়ের সন্ধান করছে।

বৃহস্পতিবারই খেলাটি চূড়ান্ত হয়ে যায়, যখন পাকিস্তান বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়, কিন্তু গল্পগুলো মনে হয় যুগ যুগ ধরে ঘুরিয়ে বেড়ানো, বিশ্লেষণ ও যুক্তি, ভবিষ্যদ্বাণী ও জল্পনা, চক্রান্ত এবং সাসপেন্স। যদি এটি একটি সিনেমা হতো, তাহলে দর্শকরা অভিযোগ করতো যে এখানে অনেক বেশি গোলমাল হচ্ছে, এবং অভিভাবকরা কৌতূহলী কিশোর-কিশোরীদের ক্রিকেটারদের কথা না শোনানোর পরামর্শ দিতেন। কিন্তু এটি একটি উপযুক্ত প্রদর্শনী, যা ৩৫০ দিরহামের টিকিটের দাম সত্ত্বেও পূর্ণাঙ্গ দর্শকদের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং রবিবার সন্ধ্যায় স্বাগতিক দেশের কিছু অংশকে স্তব্ধ করে দেবে।

};

এশিয়া কাপে এটাই একমাত্র ম্যাচ যা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি টুর্নামেন্টের একটি নিম্নমানের ড্র্যাগ ছিল, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না যে ভারত টুর্নামেন্টে অপরাজিত আছে, অথবা তারা আট ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে, অথবা তারা শেষ দুটি ম্যাচে পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছে; অথবা পাকিস্তান সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, অথবা তারা পুনর্গঠন করছে, অথবা তারা ভারতের উজ্জ্বল টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের জন্য ম্যান-টু-ম্যান ম্যাচ নয়।

ফাইনাল তো বটেই, যেখানে ফর্ম এবং অতীতের শ্রেষ্ঠত্ব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাকিস্তানের পুনরুজ্জীবিত কিন্তু পুনর্গঠিত দলের তুলনায় ভারত সু-গঠিত, অত্যাধুনিক ফেভারিট।
একটি টুর্নামেন্টের ফাইনাল একটি বিচ্ছিন্ন প্রাণী হতে পারে। এটি মানের বৈষম্যকে ঝাপসা করে দেয়। চাপ শুরু হয়, স্নায়ু ঝাঁকুনি শুরু করে, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলার জন্ম দিতে পারে। দুর্বল দলটি অবরোধের মানসিকতা ব্যবহার করতে পারে এবং অতিরিক্ত পারফর্ম করতে পারে।

তাছাড়া, টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হওয়ার পর থেকে, পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিকূলতা থেকে লড়াই করার জন্য পাকিস্তান একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে, যেমন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলায় যেখানে তারা নিজেদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটি ঠেলা খুঁজে পেয়েছে। টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তারা এক ধরণের অবাধ্যতার মনোভাব খুঁজে পেয়েছে।

টোটেমিক পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি তার অতীতের কিছু দক্ষতা এবং দক্ষতা আবার আবিষ্কার করেছেন। ভারতের বোলিং কোচ মর্নে মরকেল একটি কঠিন লড়াইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। “শাহিন স্পষ্টতই একজন আক্রমণাত্মক বোলার যে আপনাকে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করবে। আর অভিষেক (শর্মা)ও পিছু হটবে না। এখন পর্যন্ত, যতবারই এই দুজন মুখোমুখি লড়াই করেছে, ক্রিকেট সমর্থক এবং ভক্ত হিসেবে আমরা সবাই নিজেদের আসনের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি, এবং এটা খেলার জন্য দারুণ,” তিনি বলেন।

অভিষেক প্রথম দুই রাউন্ড জিতেছিল, কিন্তু আফ্রিদি কি নকআউটে আঘাত হানতে পারবে?
তার সঙ্গী হারিস রউফ আর যন্ত্রণাদায়ক ব্যক্তিত্ব নন, এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার পুরনো হিংস্রতা প্রদর্শন করেছেন। ফাহিম আশরাফ এবং তালাত হুসেন তাদের বিরতি কার্যকর করেছেন। ফখর জামান অতীতে ভারতকে যন্ত্রণা দিয়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের জিগস পাজলে ব্লক বাই ব্লক, টুকরোগুলো ঠিক জায়গায় পড়ছে। তাদের ব্যাটিং বিস্ময়কর নয়, এবং সর্বোচ্চ তার সামগ্রিক অংশের সমষ্টি। কিন্তু তারা একটি পুনরুত্থিত দলের ভাব প্রকাশ করে, ঠিক যেমন ভারতের কথিত দুর্ভেদ্য বর্মে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।

তাছাড়া, পাকিস্তানের একটা নৈপুণ্য আছে, অথবা গোপনে টুর্নামেন্ট জেতার এক গৌরবময় রহস্য আছে। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের মতো, বৃষ্টির নিয়মের সুবিধাভোগী, অথবা সম্প্রতি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যেখানে তারা আটটি দলের মধ্যে অষ্টম স্থানে ছিল। জসপ্রীত বুমরাহর নো বলে ফখর জামান ক্যাচের পিছনে পড়ে যান এবং ফাইনালে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি হাঁকান।

১৯৯২ সালে, ওয়াসিম আকরাম ইংল্যান্ডের আশা ভেঙে দেওয়ার জন্য দুটি স্বপ্নের বল তৈরি করেছিলেন। ২০১৭ সালে, মোহাম্মদ আমিরের নতুন বলের আঘাতে চুক্তিটি কার্যকরভাবে মিটে যায়।

সম্ভবত, এই ফর্ম্যাটে অজেয়তার ধারণাটি অধরা।

"আমরা (ভারত) এখনও পুরো খেলা খেলতে পারিনি," মরকেল বলতেন। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভারতের (তুলনামূলক) ত্রুটিগুলি দূর হয়ে গেছে। তারা অভিষেক শর্মার দুরন্ত শুরুর উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যদি সে একবার ব্যর্থ হয়?

};

সম্ভবত তার দেশের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সূর্যকুমারের ব্যাটিং খারাপ যাচ্ছে। বুমরাহর ফর্মে ওঠানামা হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে তার তৃতীয় সবচেয়ে খারাপ পারফর্মেন্স রেকর্ড করেছেন তিনি। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা কি তাকে বুঝতে পেরেছেন? নাকি এটি কেবল একটি মাত্র ইনিংস ছিল?

যদি হার্দিক পান্ডিয়া ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হন? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি মাত্র একটি ওভার বল করেছিলেন এবং ড্রেসিংরুমে তার বাম উরু ধরে খোঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। মরকেল বলেছিলেন যে এটি কেবল একটি ক্র্যাম্প হতে পারে। তার সহকর্মীরা এবং ভারতের সমর্থকরাও তাই চাইবেন।

atOptions = { 'key' : '77c7ac730ceee262e0475d920385a6b9', 'format' : 'iframe', 'height' : 250, 'width' : 300, 'params' : {} }; };

পান্ডিয়ার অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্য নষ্ট করছে। যদি তিনি ফিটনেসের দৌড়ে না জিততে পারেন, তাহলে ভারতের ব্যাটিং গভীরতা ঝুঁকির মুখে পড়বে। ভারত এই ফর্ম্যাটে তাদের সবচেয়ে সফল উইকেট শিকারী, অর্শদীপ সিংকে ডেকে আনতে পারে , কেবল তার শেষ দুটি খেলায়, তিনি প্রতি ওভারে ১০ রান করেছেন।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা বুঝতে পারতেন কিভাবে পাথুম নিসঙ্কা এবং কুশল পেরেরা কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তীকে বোকা বানাতে পেরেছিলেন। ভারত আর তাদের আগের মতো ভয় দেখায় না, যেমনটা তারা টুর্নামেন্টের আগে বা প্রথম খেলার পরে করেছিল, যদিও তারা শক্তিশালী দল। পাকিস্তানের জয় হবে আন্ডারডগদের জন্য, যদিও ভারতের ভাগ্যের একটা অনিবার্য আবহ রয়েছে।

More info here :